সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মিত হয়েছে ৬২ ফুট উঁচু আকাশছোঁয়া একটি রোবট দানব। প্রায় ১০ মেট্রিক টন পরিত্যক্ত সামুদ্রিক প্লাস্টিক দিয়ে ৬২ ফুট উচ্চতার এ দানবটি তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একদল শিল্পী।সিগাল পয়েন্টে এ দানবকে দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকেরা। আগামী চার মাস সাগর পাড়ে দেখা মিলবে এই দানবের।উচ্চতায় ছয় তলা ভবনের সমান এই দানব তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা বন্ধে মানুষকে সচেতন করতেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মিত হয়েছে বিশালাকৃতির এই দানব।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একদল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ১২ দিনের প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে ৬২ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্য। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১০ মেট্রিকটন প্লাস্টিক বর্জ্য। উদ্যোক্তারা বলছেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রতি বছর লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে কক্সবাজারে। সমুদ্র ঘুরতে গিয়ে ছুড়ে ফেলা প্লাস্টিক বর্জ্য উদ্বেগজনক হারে বাড়াচ্ছে দূষণ, হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ-প্রতিবেশ।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর অনেক পর্যটক আসেন। আমরা তাদেরকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করছি। এ লক্ষ্যেই সৈকতে এ বিশালাকৃতির দানব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো গেলে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা রোধ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, এই দানব তৈরির মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা। ব্যক্তি পর্যায় সচেতনতা তৈরি করতে পারলেই বাড়বে পরিবেশ সচেতনতা।
এদিকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসে পরিবেশ সচেতনতার এই প্রচারণা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকেরা। পর্যটকেরা বলছেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতার উদ্দেশ্যে এই প্লাস্টিকের যে দানব তৈরি করা হয়েছে এটি বিস্ময়কর। শুধু কক্সবাজার নয় সারা দেশেই পর্যটন শিল্প রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।প্লাস্টিক দানব ভাস্কর্যের পাশে বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’ খোলা হয়েছে। যেখানে প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করতে পারবে নিম্ন আয়ের মানুষ।